গত কালকে থেকে বৃষ্টি হচ্ছে তো হচ্ছেই। বারান্দায়-ছাদে বাবার গাছেরা অসময়ের বৃষ্টির জলে প্রাণভরে ভিজে দারুণ উজ্জীবিত। দেখে ভালো লাগে।
এইরকম সময়ে পড়তে ভালো লাগে। আজকে অভ্যাস ভেঙ্গে লেখা নিয়ে বসেছি।
কিন্তু অনেকদিনের অনভ্যাসে কলম বার বার থেমে যায়। কী নিয়ে লিখবো? কেন পড়তে ভালোবাসি? কারণ আমি অত্যন্ত অলস, আর অলস লোকের সবচাইতে ভালো টাইমপাস হলো বই। এইরকম সময়ে পড়তে ভালোলাগে রবীন্দ্রনাথ বা সুনীলের কোনো লেখা। টানা টানা গদ্য। চোখের বালি বা সেই সময় খুলে দুই মিনিটের মধ্যে গল্পের ভিতরে ঢুকে পড়া যায়। এ বইগুলো বহুবারের পড়া, জায়গায় জায়গায় মুখস্থ হয়ে গেছে। তাই এখন পড়া হয় কম, দেখা হয় বেশি। স্বল্পালোকিত ঘরে কর্মরতা যে বিনোদিনীকে দেখা যায় তার মুখ ঐশ্বরিয়া রাইয়ের নয়- আমার নিতান্ত বাঙ্গালি চেহারার দেবী পিসির মতো, স্নিগ্ধতায় লাবণ্যে ঢলঢল করছে। আমি চুপ করে বসে তার ঘর গুছানো দেখি। নবীনকুমারদের বিশাল মহলে সারাদুপুর ঘুরঘুর করে বেড়াই। সূর্যকুমারকে বলার চেষ্টা করি, তুমি এমন কেন? দেখো, জীবন কতো সুন্দর! আর নভেম্বরের সন্ধ্যায় দারজিলিং যেতে মন চাইলে বুড়ো আংলা খুলে বসি।
আমার চারপাশের বাস্তব জগতের মানুষেরা যেমন বাস্তব, বইয়ের মানুষগুলি আমার কাছে ততোটাই বাস্তব হয়ে ধরা দেয়। শুধু মানুষ কেন, হোয়াইট ফ্যাং আর কাশতানকার সাথেও তো বহুদিনের বন্ধুর মতো পরিচয়। আমি তাদের চেহারা দেখতে পাই, তাদের ভালোলাগা মন্দলাগা জানি, আমি জানি তারা দুপুরে কী করে। আমার বাস্তব আর বইয়ের বাস্তব, দুই জগতই আমার সমান স্বচ্ছন্দ। দুক্ষু লাগে, ঈশ্বর আমাকে অনুভূতি দিয়েছেন, ভাষা দেননি। মনের কথা কোনোদিনই গুছিয়ে কাউকে বলে উঠতে পারলাম না। কিন্তু আমার খুব ইচ্ছা করে এই অনুভূতির জগত কারো সাথে ভাগ করে নিতে। একটা বন্ধু, যে এই ওনুভূতিকে জানে, যে আমার কথা বুঝতে পারবে। এ জন্য কি এখন আমাকে লুইস ক্যারলের আত্মাকে ডেকে আনতে হবে?
জীবনে এরকম একজন বন্ধু পেলে ওনেক দুঃখই ভুলে যাওয়া যেতো। কিন্তু এসব এলোমেলো ভাবনা অলস সময় পার হবার সাথে সাথেই বিশ্বসংসার থেকে অন্তর্হিত হয়ে যায়। গল্পের বই হাতে এরকম এলোমেলো চিন্তার মধ্যে দিয়ে আমার বর্ষণমুখর সন্ধ্যার শরীরে রাত্রি নেমে আসে।
অক্টোবর ৮, ২০০৭
এইরকম সময়ে পড়তে ভালো লাগে। আজকে অভ্যাস ভেঙ্গে লেখা নিয়ে বসেছি।
কিন্তু অনেকদিনের অনভ্যাসে কলম বার বার থেমে যায়। কী নিয়ে লিখবো? কেন পড়তে ভালোবাসি? কারণ আমি অত্যন্ত অলস, আর অলস লোকের সবচাইতে ভালো টাইমপাস হলো বই। এইরকম সময়ে পড়তে ভালোলাগে রবীন্দ্রনাথ বা সুনীলের কোনো লেখা। টানা টানা গদ্য। চোখের বালি বা সেই সময় খুলে দুই মিনিটের মধ্যে গল্পের ভিতরে ঢুকে পড়া যায়। এ বইগুলো বহুবারের পড়া, জায়গায় জায়গায় মুখস্থ হয়ে গেছে। তাই এখন পড়া হয় কম, দেখা হয় বেশি। স্বল্পালোকিত ঘরে কর্মরতা যে বিনোদিনীকে দেখা যায় তার মুখ ঐশ্বরিয়া রাইয়ের নয়- আমার নিতান্ত বাঙ্গালি চেহারার দেবী পিসির মতো, স্নিগ্ধতায় লাবণ্যে ঢলঢল করছে। আমি চুপ করে বসে তার ঘর গুছানো দেখি। নবীনকুমারদের বিশাল মহলে সারাদুপুর ঘুরঘুর করে বেড়াই। সূর্যকুমারকে বলার চেষ্টা করি, তুমি এমন কেন? দেখো, জীবন কতো সুন্দর! আর নভেম্বরের সন্ধ্যায় দারজিলিং যেতে মন চাইলে বুড়ো আংলা খুলে বসি।
আমার চারপাশের বাস্তব জগতের মানুষেরা যেমন বাস্তব, বইয়ের মানুষগুলি আমার কাছে ততোটাই বাস্তব হয়ে ধরা দেয়। শুধু মানুষ কেন, হোয়াইট ফ্যাং আর কাশতানকার সাথেও তো বহুদিনের বন্ধুর মতো পরিচয়। আমি তাদের চেহারা দেখতে পাই, তাদের ভালোলাগা মন্দলাগা জানি, আমি জানি তারা দুপুরে কী করে। আমার বাস্তব আর বইয়ের বাস্তব, দুই জগতই আমার সমান স্বচ্ছন্দ। দুক্ষু লাগে, ঈশ্বর আমাকে অনুভূতি দিয়েছেন, ভাষা দেননি। মনের কথা কোনোদিনই গুছিয়ে কাউকে বলে উঠতে পারলাম না। কিন্তু আমার খুব ইচ্ছা করে এই অনুভূতির জগত কারো সাথে ভাগ করে নিতে। একটা বন্ধু, যে এই ওনুভূতিকে জানে, যে আমার কথা বুঝতে পারবে। এ জন্য কি এখন আমাকে লুইস ক্যারলের আত্মাকে ডেকে আনতে হবে?
জীবনে এরকম একজন বন্ধু পেলে ওনেক দুঃখই ভুলে যাওয়া যেতো। কিন্তু এসব এলোমেলো ভাবনা অলস সময় পার হবার সাথে সাথেই বিশ্বসংসার থেকে অন্তর্হিত হয়ে যায়। গল্পের বই হাতে এরকম এলোমেলো চিন্তার মধ্যে দিয়ে আমার বর্ষণমুখর সন্ধ্যার শরীরে রাত্রি নেমে আসে।
অক্টোবর ৮, ২০০৭
3 comments:
"বেদনার বিষয়, ঈশ্বর আমাকে অনুভূতি দিয়েছেন, ভাষা দেননি। "
বাহ ! ঈশ্বরে বিশ্বাস শুরু করে দিয়েছেন দেখছি :D
লেখাটা পড়ে নিরেট মিথ্যা মনে হল। এই লেখাতেই আপনি ধরা পরে গিয়েছেন।কেউ কি বিশ্বাস করবে, এই লেখার লেখক, লেখতে পারেন না ?
প্রশ্নের উত্তর আপনিই দিন !
প্রথমেই অনেক অনেক ধন্যবাদ, কিছু লিখলেন বলে আমার এইখানে। ঠিক যে ঈশ্বরে বিশ্বাস করতে পারছি তা নয়, আসলে সব সময় নিজের অক্ষমতার দায় নিজে নিতে ভালো লাগেনা, আর ঈশ্বরকে দোষ দিলে তো আর তিনি প্রতিবাদ করতে আসবেন না, তাই যতো দোষ নন্দ ঘোষ আর কী!
আর আমার লেখার মান নিয়ে কথা বলে আর লজ্জা দেবেননা, এটা আমার জন্য বড়োই একটা বিব্রতকর বিষয়।
ছবিটা তো দারুণ।
Post a Comment