আজকে পড়লাম কুলায় কালস্রোত। লেখক শওকত আলী। ১৯৭৭ সালে সাপ্তাহিক বিচিত্রার ঈদ সংখ্যায় বের হয়েছিলো। আমি কিনেছি মুক্তধারা থেকে ১৬ টাকা দিয়ে।
ভালো বই। তবে ছাড়াছাড়া ভাব। হয় লেখক খেপ মারা জন্য লিখেছিলেন, চরিত্রগুলি ফুটিয়ে তুলতে বেশি মনোযোগ দেন নাই। অথবা ইচ্ছা করেই লেখার স্ট্রাকচার এমন, যাতে পাঠক বেশি করে ইনভলভড হয়। অনেক ঘটনা অনেক চরিত্র কল্পনা করে নিতে পারে। তবে এটা একটা দুঃখের বই।
দুঃখের বই সামনে পড়ে বেশি। আগে একদিন পড়ছিলাম জীবন আমার বোন। তার আগের দিন কালো বরফ আর খেলাঘর। তার আগের দিন নিরাপদ তন্দ্রা।
অনেক সময় সারাদিন একটি গান শুনি। কিছুদিন ধরে নিরাপদ তন্দ্রা অনেকবার পড়লাম। এটা একটা ম্যাজিকের বই। গুরু দত্ত বইটির সন্ধান পেলে একটি সিনেমা বানাতেন। নায়িকা নিতেন মীনা কুমারীকে।
এরকম একটা সুন্দর গান থাকতোঃ
মাহমুদুল হকের সব বইগুলাই ম্যাজিকের। তাই বলছিলাম মাহমুদুল হকের লেখা আমার ভালো লাগে। আজকের সকালটাও খুব ভালো লাগছিলো। আমার অফিস গুলশান পার্কের উলটা দিকে। সকালে যখন অফিসের সামনে নামলাম তখন ঠাণ্ডা বাতাসে অনেক আমের ফুলের গন্ধ। অফিসে না ঢুকে পার্কে গিয়া হাঁটতে চেয়ে মিটিং রুমে ঢুকলাম যখন গান গাইতে গাইতে তখন বসের মুখ গম্ভীর।
6 comments:
বাংলা বই-এর এতগুলি নাম দেয়া একটা পোস্টের শিরোনাম ইংলিসে! এডা কি কিছু হইলো? :P :P
আর কিছু বলার নাই, কমেন্ট দিয়া দেখলাম এহানে কমেন্ট দিতে কেমন লাগে :) :)
আপনার লেখাটা খুব ভালো লাগলো। মাহমুদুল হক আমিও মুগ্ধ হয়ে পড়ি। অনেক আগে লিখেছিলাম তাঁকে নিয়ে একবার-
http://www.sachalayatan.com/konfusias/26212
@থিও, কমেন্ট করসো দেখে থেঙ্কুমেঙ্কু। বাংলা লিখার নাম ইংলিশ অক্ষরে হওয়ার একমাত্র কারণ হইলো বাংলাতে র্যান্ডম লিখতে পারতেসিলামনা :(
@কনফুসিয়াস, ভাইয়া কমেন্টে আপনার নাম দেখে তো আমি লাফিয়ে উঠেছি।
আমার ধৈর্য খুব কম এক বই একবারের বেশি দুইবার পড়িনা। কিন্তু মাহমুদুল হকের চারটা বইই কয়েকবার করে পড়তে হয়েছে। অসম্ভব সাদামাটা বর্ণনা, কোনো কমলা রঙের নায়িকা নাই বা কারো ছোঁয়াতে কাঁচ রঙিন হয়না। তারপরও বইগুলার মধ্যে শক্তিশালী ম্যাজিকাল একটা ব্যপার আছে যা আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারিনাই।
আপনার ব্লগটা পড়ে বুঝলাম সবার উপরেই হকের ম্যাজিক একই রকম কাজ করে। তার বইগুলা নিয়ে আরেকটু বড়ো সাইজের কিছু লেখার ইচ্ছা আছে। আপনার ব্লগ পড়ে উৎসাহ বাড়লো।
এই বইমেলা থেকে প্রতিদিন একটি রুমাল আর বাকি যেই বইগুলা পড়া হয়নাই কিনে ফেলবো।
এই লেখাটা খুব ভালো লাগলো। সহজ আর গোছানো।
মাহমুদুল হকের লেখার আসলেই একটা জাদুকরি প্রভাব আছে। কেমন যেন...
আর ধন্যবাদ গানটার জন্য। অনেকদিন পর গীতা দত্তের গান শোনা হলো, বিশেষত সাহেব বিবি আর গোলামের গানগুলি।
শেষে একটা অনুযোগ- আরেকটু বড় হওয়া উচিত লেখাগুলি।
আপনার লেখা ভালো লাগলো
ধন্যবাদ। আপনার ব্লগগুলিও খুবই ভালো লেগেছে। পড়বো এখন থেকে নিয়মিত।
Post a Comment