১. কথা ছিলো এক তরীতে, কেবল তুমি আমি/ যাবো অকারণে ভেসে, কেবল ভেসে
আমার মনে অনেক জন্ম ধরে ছিলো ব্যথা
বুঝে তুমি এই জন্মে হয়েছো পদ্মপাতা;
হয়েছো তুমি রাতের শিশির—
শিশির ঝরার স্বর
সারাটি রাত পদ্মপাতার পর;
তবুও পদ্মপত্রে এ জল আটকে রাখা দায়।
আমরা যাকে ভালোবাসি, আমরা কি জানি তাকে কেন ভালোবাসি? জন্মজন্মান্তরের যে অব্যক্ত ব্যথা থাকে মনে, যাকে পেয়ে সেই ব্যথার শুশ্রুষা হয়, আমরা বোধহয় তাকেই ভালোবাসি। প্রতিদিনের ব্যবহারে সেই অমৃতের উৎসরণ হয়তো একসময় আর অনুভব করা যায়না। তাই বলে ভালোবাসা কখনও শুকিয়ে যায়না। সুক্ষ্ম ক্ষত হয়ে গভীরে কোথাও থেকে যায়। সমস্ত নতুন মুখের মাঝে পুরোনো কোনো ছায়া খুঁজে নিয়ে শান্ত হতে চায়। শুধু যদি অকারণে সারজীবন ভালোবেসে যাওয়া যেতো।
আমার মনে অনেক জন্ম ধরে ছিলো ব্যথা
বুঝে তুমি এই জন্মে হয়েছো পদ্মপাতা;
হয়েছো তুমি রাতের শিশির—
শিশির ঝরার স্বর
সারাটি রাত পদ্মপাতার পর;
তবুও পদ্মপত্রে এ জল আটকে রাখা দায়।
আমরা যাকে ভালোবাসি, আমরা কি জানি তাকে কেন ভালোবাসি? জন্মজন্মান্তরের যে অব্যক্ত ব্যথা থাকে মনে, যাকে পেয়ে সেই ব্যথার শুশ্রুষা হয়, আমরা বোধহয় তাকেই ভালোবাসি। প্রতিদিনের ব্যবহারে সেই অমৃতের উৎসরণ হয়তো একসময় আর অনুভব করা যায়না। তাই বলে ভালোবাসা কখনও শুকিয়ে যায়না। সুক্ষ্ম ক্ষত হয়ে গভীরে কোথাও থেকে যায়। সমস্ত নতুন মুখের মাঝে পুরোনো কোনো ছায়া খুঁজে নিয়ে শান্ত হতে চায়। শুধু যদি অকারণে সারজীবন ভালোবেসে যাওয়া যেতো।
২. আমি তোমারে পেয়েছি হৃদয়মাঝে
জোল ক্ল্যামেন্টাইনকে ভুলে যেতে চায়।
মনোবৈজ্ঞানিকের আশ্চর্য যন্ত্রের কারিশমায় ক্ল্যাম মন থেকে মুছে ফেলেছে জোকে। অভিমানে আর হতাশায় জোলও সেই একই ডাক্তারের শরণাপন্ন হলো শেষ পর্যন্ত। সে নিজের অতীতকে ভুলে গিয়ে, যে অতীতের পরতে পরতে ক্ল্যাম অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িয়ে রয়েছে, নতুন এক ভবিষ্যত তৈরি করতে চায়।
জোলের স্মৃতি থেকে যখন এক এক করে মুছে যাচ্ছে ক্ল্যাম আর তার ভালোবাসার সমস্ত ঘটনা, তখন ঘুমন্ত জোলের মধ্যে জেগে ওঠে আরেক জোল। এই জোল ভালোবাসে ক্ল্যামকে, খুব ভালো করে বোঝে তাকে। আর কী আশ্চর্য! তার সাথে এসে যোগ দেয় ক্ল্যাম! বাইরের জীবনে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও এই ক্ল্যাম আর জোল অবিচ্ছেদ্য। জোল সমস্ত শক্তি দিয়ে চেষ্টা করে ক্ল্যামের কোনো একটু স্মৃতি ধরে রাখতে, যার সুত্র ধরে পরে আবার ক্ল্যামের কাছে পৌঁছে যেতে পারে, ক্ল্যামকে আবারও ফিরিয়ে আনতে পারে নিজের জীবনে। ক্ল্যাম সাহায্য করে তাকে। যন্ত্রের সাথে আশ্চর্য এক লুকোচুরি খেলাতে মেতে ওঠে দু’জনে। বিশিষ্ট চিন্তাশীল জোল বাইরের জীবনে মহা বিরক্ত থাকে ক্ল্যামের উপরে, তার মননের অভাবের জন্য। সেই জোলই অন্তরে এমন এক ক্ল্যামকে জানে, যে দারুণ দারুণ সব বুদ্ধি খাটিয়ে বার বার হারিয়ে দেয় যন্ত্রের নিশানা। বাইরের জোলের প্রচন্ড অভিমান ছিলো ক্ল্যামের উপরে, কেন সে ভুলে গেলো জোলকে। কিন্তু অন্তরের জোল এক কথায় মেনে নেয়, ক্ল্যাম তো চিরদিনই ক্ষ্যাপাটে! এর উপরে কি আর কোনো যুক্তি চলে?
কিন্তু যন্ত্রের কাছে মানুষকে হার মানতে হয়। আবার দেখা হবে, এই প্রতিশ্রুতিতে বিদায় নেয় দু’জনে।
বাইরে যেই সব অপরাধ কতো বড় হয়ে ওঠে, মানুষকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়, নিজের অন্তরে একটু তলিয়ে দেখলে সেই অপরাধই কতো সামান্য হয়ে যায়। ভালোবাসার মানুষকে ক্ষমা করে দেওয়া কি কঠিন? আমরা আমাদের চাহিদার মাপকাঠিতে মানুষের বিচার করি, পছন্দের সাথে না মিললে কতো কষ্ট পাই। যে যেমন, তাকে তেমনভাবে মেনে নিয়ে ভালোবাসলেই কি জীবন অনেক সহজ হয়ে যায় না? যে ভালোবাসা, অতীতের, বর্তমানের, এবং ভবিষ্যতের, তাকে আমরা বার বার কেবলই অতীত বলে ভুল করি, পেছনে ফেলে এগিয়ে যেতে চাই। তাই অবিচ্ছেদ্য জোল আর ক্ল্যামকেও বার বার বিচ্ছিন্ন হবার কষ্টের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, আবার মিলিত হবার জন্য।
বাইরে যেই সব অপরাধ কতো বড় হয়ে ওঠে, মানুষকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়, নিজের অন্তরে একটু তলিয়ে দেখলে সেই অপরাধই কতো সামান্য হয়ে যায়। ভালোবাসার মানুষকে ক্ষমা করে দেওয়া কি কঠিন? আমরা আমাদের চাহিদার মাপকাঠিতে মানুষের বিচার করি, পছন্দের সাথে না মিললে কতো কষ্ট পাই। যে যেমন, তাকে তেমনভাবে মেনে নিয়ে ভালোবাসলেই কি জীবন অনেক সহজ হয়ে যায় না? যে ভালোবাসা, অতীতের, বর্তমানের, এবং ভবিষ্যতের, তাকে আমরা বার বার কেবলই অতীত বলে ভুল করি, পেছনে ফেলে এগিয়ে যেতে চাই। তাই অবিচ্ছেদ্য জোল আর ক্ল্যামকেও বার বার বিচ্ছিন্ন হবার কষ্টের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, আবার মিলিত হবার জন্য।
4 comments:
কি আশ্চর্য !
পৃথিবীটা দেখি ঘুরছে
সেই সাথে ঘুরছি আমি, তুমি ও সে
এবং আমাদের পৌনপুনিক ভুলগুলো
কি আশ্চর্য !
------------------------------
-ক্লিশে কবিতা বাদ দেই। লেখাটা অন্যরকম। সচরাচর মুভি রিভিউ বলতে যা বোঝায়, তা না। বরং বলা যেতে পারে, এটা অনেকটা সেই বিদ্যুত চমকানোর মত। ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র সময়ের এক আলোর ঝলক, কিন্তু কত গভীরভাবে দেখা চারপাশ ! লেখাটার সর্বত্রই ছিল হৃদয়ের ছাপ, যত্নের ছাপ,( অভিমান ও কি ? ) ।
লেখাতে ব্যবহৃত পংক্তিগুলো প্রচন্ড রকমের মানানসই। লেখার ঢংটিও সাবলীল, এবং ব্যতিক্রমধর্মী।
লেখিকার সর্বাঙ্গীন কুশল কামনা করছি।
মন্তব্য, মূল লেখার চেয়ে ভালো হয়েছে। এবং কবিতাটা মোটেই ক্লিশে হয়নি :)
মন্তব্যকারীর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
ভিন্নধারার রিভিউ। পড়ে ভাল লাগলো। সচলায়তনে লিংক দেখে ঢুঁ মারলাম। ব্লগ পছন্দ হয়েছে। সচল হবার অপেক্ষায় রইলাম।
ইশতিয়াক
চার বছর!
Post a Comment