Sep 14, 2009

টুকরো টুকরো

ক্লাস বাদ দিয়ে জিকোর সাথে হাঁটছি সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনে। সন্ধ্যা হবে। জিকো পরেছে বাংলার মেলার ফতুয়া। তাকে জামাই জামাই লাগে। আমার পায়ের উপর ঝুপ করে কীযেনো পড়লো। নরোম কাঠবিড়ালী। থমকে আবার ঝুপ ঝুপ করে উঠে গেলো। এ'রকম আমার সাথে আগেও হয়েছে। চারুকলায়। নিটশে বলছেন পুরানো ঘটনা বারবার ঘটে, আমি ভাবি। আর ভাবি ভাগ্য ভালো, আমি মারা গেছি। তাই আমাকে আর জিকোর সাথে হাঁটতে হয়না। ভেবে হেঁটে হেঁটে চলে গেছি ব্রিটিশ কাউন্সিলের কাছে। দেখি জয়ন্ত। খুশি হয়ে আমাকে ধরে একটা ঝাঁকুনি দেয়। বলে বাইকে উঠ। আমি বললাম, কই যাবি? বলে বইমেলা। আমি বলি না'রে, অনেক রোদ। আর মানুষ। সে ধমক লাগায়। জামাইয়ের লগে তো রোজ বইমেলাতেই প্রেম করতে যাইতে পারো, আর আমার লগে একদিন গেলে রোদে পুইড়া যাইবাগা? আমি লজ্জা পাই। বলি চল। তুই দেশে কবে আসলি? কালকে। আমার ভিড় একটু ভয় লাগে। তাই জয়ন্ত ধরে রাখে আমার হাত। আর আমি এদিকে ওদিকে তাকিয়ে খুঁজি টুটুলকে। শেষপর্যন্ত ওকে আমরা খুঁজে পাই বর্ধমান হাউজের সিঁড়িতে। গালে হাত দিয়ে বসে কবিতা লিখছে। আমাদেরকে দেখে টুটুল লজ্জা পায়। হাসে। তারপরে আমরা তিনজন মিলে শর্মা হাউজে গেলাম। বাইরে বের হয়ে দেখি সুন্দর একটা সকাল হচ্ছে। মন অনেক ভালো হয়ে গেলো।

No comments: