শহরে জোনাকি জ্বলে না নয়তো
কুড়োতাম সে আগুন নীল হয়তো
আমিনা কাগজ কুড়ায়। মাঝেমাঝে ভিক্ষা করে। মাঝেমাঝে ফলওয়ালা তাদেরকে ঝরা আঙ্গুর খেতে দেয়। আমিনা আঙ্গুর পছন্দ করে। সে কখনও ঢাকার বাইরে যায়নি। আজকে খুব বৃষ্টি। আমিনা এক পঙ্গু ভিক্ষুকের ট্রলিতে শুয়ে বেতফল খাচ্ছে।
____________________________________________________________________________________
____________________________________________________________________________________
নায়ীরার স্বামী তাকে পিটায়। আবার আদর করে। স্বামীর অবর্তমানে নায়ীরা ফেইসবুকে প্রেম করে। মোবাইলে প্রেম করে। তাদের সন্তান হলে নায়ীরা ব্যস্ত হয়ে যায়।
____________________________________________________________________________________
আবীরদের বাসা ১০ তলার উপরে এক ফ্ল্যাটে। সেখানে খুব বাতাস। আবীরের ঘরের দেয়ালের রঙ লাল। আবীরের গার্লফ্রেইন্ডের ঘরের দেয়াল নীল। তবে তার গার্লফ্রেইন্ডের অন্যত্র বিয়ে হয়ে যায়। আবীর মোরাভিয়ার গল্প পড়েনি।
___________________________________________________________________________________
ইরানী, বনানি সুপার মার্কেটে, কাপড়ে ফুল তোলে। সেখানে তার সেলিম টেইলরের সাথে পরিচয় হয়। সেলিম খুব ভালো কাজ জানে। ক্রমে সেলিমের এতো পশার হয় সে নিজের দোকান খুলে গুলশান ২তে। কিন্তু সে গ্রাম থেকে একটি কম বয়সী মেয়ে বিয়ে করে। তার স্ত্রী পর্দা করে এবং দ্রুত মোটা হয়। তাদের শিশু ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে যায়। ইরানীর সাথে এক গার্মেন্টসের পাহারাদারের বিয়ে হয়। তার স্বামী পরে এক দুর্ঘটনায় মারা যায়। তারপর তার এক ড্রাইভারের সাথে বিয়ে হয়। ইরানীর ৩ শিশু। তারা এনজিওর স্কুলে যায়। ক্রমে এক শিশু বড়ো হয়ে নিজের গ্যারাজ খুলে। আরেকজন আমেরিকা যায়। পরে নিজের ভগ্নিপতি আর তারপরে মা'কে নিয়ে যায়।
___________________________________________________________________________________
মৌরিন ফ্লোরে শুয়ে থাকে। উঠে যে খাটে গিয়ে শুবে সেটাও ইচ্ছা করেনা। গরমে খারাপ লাগে কিন্তু ফ্যানের শব্দ খারাপ লাগে বলে ফ্যান ছাড়েনা। সে ক্লান্তভাবে অপেক্ষা করে বিল্ডিঙটা ভেঙে পড়ার। অনেক দূরের একটি গ্রহ থেকে বিজ্ঞানিরা খুব শক্তিশালী একটি টেলিস্কোপ দিয়ে তখন পৃথিবী দেখছে। তারা তখন দেখছে মৌরিন নিজের রিদয়ে একটা চাকু ঢুকিয়ে দিলো। কিন্তু রক্তের বদলে বের হ'লো কিছু শাদা পালক। মৌরিন শুকনো মুখে ফ্রিজ থেকে পানি বের করে খাচ্ছে।
2 comments:
অন্দ্রিলার কারো জন্য মন খারাপ হয়, তার শহরে বর্ষা। বর্ষায় তার একা থাকতে ভালো লাগে না। সে তিনটি শ্বেতবেলী লুকিয়ে রেখেছে গোপনে। কেউ ফিরলে তার হাতে দেবে সুঘ্রাণ। তার কণ্ঠজুড়ে একটা গুনগুন বেদনার গান। তার বেদনা ও সুর পরস্পর সহোদরা।
দূরে একটা অন্ধ আঙুল রক্তাক্ত
অন্দ্রিলার মোটেই কারও জন্য মনখারাপ হয়না, তার কি এতো সময় আছে? বেলিফুল গাছে মাত্র তিনটা না, অনেক ফুল হয়, রোজ মুড়িয়ে ছিঁড়ে নিলেও পরদিন আবার ভরে উঠে এমনই ছ্যাঁচড়া।
অন্ধের আঙুল থেকে এতো সহজেই রক্তপাত হলে কীভাবে চলবে? কানাকে ভিটামিন খেতে বলেন।
শিলুকের উত্তর বলে দেবার জন্য ধন্যবাদ। উত্তরটি খুব বেশি সুন্দর ছিলো
Post a Comment