Sep 4, 2011

চল মিনি আসাম যাবো

ধেৎ কিছু ভালো লাগতেসেনা। যামুগা আমি এই দেশ থিকা। ইচ্ছা করে আমিও গোপালকে নিয়া আসাম যাইগা। পাত তুললেই টাকা পাবো। 


::
আজকে খুব মজা হ'লো। কালকেও সন্ধ্যায় খুব মজা হবে হয়তো। পরশু কী হবে জানিনা। মনেহয় নতুন কোনো মজা খুঁজে বের করবো। কেউ না কেউ মজার কোনো কথা বলবে। মজার জিনিশ খেতে যাবো। ঘুরতে যাবো। মজার কাজ খুঁজে নিবো। কারণ মজা না থাকলে লাইফ খুব বোরিং। বোরিং লাইফ খারাপ। বাজে বিশ্রী। মনেহয় এইরকম কথা আমি আগেও লিখেছি। কিন্তু আমার আগেও নিশ্চয়ই কেউ একই কথা লিখেছে। 

:: 
পাহাড়ে ঘুরতে যাইতে ইচ্ছা করতেসে। পায়ের নিচে মেঘ উপরে নদী। নদী পার হ'লে তোমাদের বসতি। তোমাদের মেয়েরা গলায় পুঁতির মালা পরে, আর তাদের কানে রঙিন পালক। তোমাদের রাস্তায় আমাদের পুলিশ। আমাদের আর্মি মেয়েদেরকে গাড়ির ছাদ থেকে নেমে বসতে বলে। কিন্তু তোমাদের যুবকদের নৌকা বাওয়া, সবচেয়ে সুন্দর জাদুবাস্তবতার গল্পের চাইতে বেশি সুন্দর। তোমাদের দেশে পায়ের নিচে মেঘ, উপরে নদী। তোমাদের দেশে যেতে ইচ্ছা করে। 

:: 
কেনো জানি সব পল্লীগীতি একই মানুষের দুঃখের কথা বলে। গাড়িয়াল ভাই চলে গেলো সেই চিলমারির বন্দরে। তার গায়ে একটা জামা নাই, হাতে একটা পেনি নাই, যেই ট্রেইনের লাইন বানাতে বানাতে সে একশো মাইল দূরে চলে আসলো, সেই ট্রেইনে চড়ে তো সে আর বাড়ি ফিরতে পারবেনা। সে আসাম যাবে। যদুরাম বলেছে সেখানে পাত তুললেই পয়সা। কিন্তু সেইখানেও সাহেব পিঠের চাম তুলে নিতে চায়। 

::
পল্লীগীতিতে কেনো এতো দুঃখ?
১. মানুষের আসলেই অনেক দুঃখ
২. মানুষ বস্তুত দুঃখবিলাসী

মানুষ যদি দুঃখবিলাসীই হবে, তাইলে মানুষ মজা খুঁজে কেনো প্রতিদিন?

বাজে প্রশ্ন। দুঃখবিলাসী মানে যে দুঃখ করে বিলাস অনুভব করে। সেইটাই তার মজা। অতএব মানুষের জীবনে দুঃখ দরকার আছে।

মন্ত্রী আঙ্কেল, আপনি আমাদের রাস্তাগুলা আরও ভেঙে রাখেন। জ্যাম লাগায়ে রাখেন আরও বেশি করে। আমাদের আত্মীয়স্বজনরা আরও বেশি করে রোড এক্সিডেন্টে মারা যাক। তা নাহ'লে, আমাদের দেশে আরও সুন্দর সুন্দর গান লেখা হবে কেমন করে, বলেন তো?

No comments: