রাত এলে খুব সেই দেশের কথা মনে পড়ে যে দেশে কখনো যাইনি
ভোর হলে মন খারাপ লাগে, রাতটা শেষ হয়ে গেল
কত নরোম রাতের পর এলো কতো সুকোমল ভোর
তবু দিন এসে ট্রাকচাপা দিয়ে গেল টুনটুনির নাচগানগুলি
তুমি যদি আজ শিমুলবনের পথে চলে যাও, তবে এখনো হয়তো দেখতে পাবে সেদিনের ঝরাপাতা
পাতার আড়ালে আছে লক্ষ্মীর পায়ের ছাপ
চালগোলা জলে আঁকা, শাদা যেন টগরের ফুল
যদিও সব টগর সমুদ্রে চলে গেছে নদীর মন্থর জলে ভেসে
তুমি যদি আজ শিমুলবনের পথে চলে যাও, ক্যামেরা সাথে নিয়ে যেও।
পাতার স্তূপের নিচে সাপেরা দিয়েছে শীতঘুম
তাদেরকে ঘুমুতে দিয়ে আরো কিছু দূরে চলে যেয়ো
সেখানে দেখতে পাবে দিদিমার শুম শাম বাড়ি
বুড়ির ঘোলাটে চোখ, ক্যামেরাতে আসবে কি ভাল?
তবে কিছু ছবি এনো, ছবি এনো খড়ের গাদার
বাঁশবন, পানপাতা, শিমফুল, সব ছবি এনো
এলবাম ওল্টাবো লক্ষ্মীকে ভাসিয়ে দিয়ে এসে।
3 comments:
ভালো লাগলো অনেক। শুম শাম নাকি শুনশান? নাকি সুনশান? আমি নিজেই কনফিউজড হয়ে গেলাম। :)
যাই হোক, এই কবিতা পড়ে আবার জীবনানন্দ সমগ্র ওলটাতে ইচ্ছা হলো, এটুকু নির্দ্বিধায় বলতে পারি।
ভালো লাগলো অনেক। কেমন যেন...নস্টালজিক।
khub emotional kobita.........
obak kando
অবাক কান্ড
strange story
Post a Comment