Jan 9, 2008

২০০৮

আমার ইউনিভার্সিটি জীবন শেষ হতে আর এক মাসও নেই। তুমি খুশি হবে, আমরা আর কোথাও থাকবোনা।

আমাদের ইন্সটিটিউটে ঢোকার মুখে যেই বিশাল কড়ই গাছটা, সে প্রচুর ফুল ফুটিয়েছিলো। আমি একটা ফুল কুড়িয়ে তোমার হাতে তুলে দিলাম। তুমি প্রশ্ন করলে, কী হবে এ দিয়ে? আমি বললাম, চোখ বন্ধ করো? তোমার হাতে আস্তে করে ফুলটা স্পর্শ করলাম। তুমি বললে, রেমিনিসেন্ট।

আমি রেমিনিসেন্ট মানে জানিনা। শহীদুজ্জামান স্যারের রিক্সা আসলো, আমরা ক্লাসে দৌড়।

ক্লাসের পর করিডরে বের হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, রেমিনিসেন্ট মানে কি? এবার তুমিই যেন লজ্জা পেলে। একটু সময় নিয়ে বললে, এর স্পর্শ, অন্য কারো স্পর্শের কথা মনে করিয়ে দেয়।

সেই গাছটা কেটে ফেলেছে। তার ছায়ায় দাঁড়ালে মাথায় বৃষ্টি পড়তোনা। গাছের কাছে গাছ হয়ে, পাখির কাছে পাখি হয়ে আমরা তোমার কথা বলতাম। তাদেরকে তো আর কোনোদিন খুঁজে পাবোনা।

3 comments:

Anonymous said...

শব্দ তৈরীর অধিকার কি আমাদের আছে ?

থাক বা না থাক, একটা শব্দ আমি বানাতেই পারি।

অনেক মাথা চুলকে, অনেক সাত আর পাঁচ ভেবে, আমি একটা শব্দ বানালাম।

স্মৃতিদাস , সেইসব লোক যারা স্মৃতিকে নিয়েই বেঁচে থাকে।

স্মৃতিদাসত্ব ভালো না খারাপ, সে নিয়ে তর্ক অর্থহীন। তবে এটুকু বলা যায়, তা নিঃসন্দেহে কষ্টের।

এরকম নীলাভ লেখা পাঠ করে, কিংবা লিখে আমি বা আপনি কেউই নীলকন্ঠ হই, এমনটা বোধহয় কারোই কাম্য না।


ভালো থাকবেন।

Anonymous said...

Reminiscent.

এই পৃথিবীটাই reminiscent।

বরফ পানি said...

আপনার আবার কি হইলো? :S