Jun 25, 2009

থাকে শুধু অন্ধকার

দশ মিনিট পরে বের হয়ে যেতে হবে। মিডিয়া প্লেয়ার শোনাচ্ছে বিল ডগলাসের সুইট রেইন। দশ মিনিট পরে বের হয়ে যাবো। এশিয়াটিকের অফিসে যেতে হবে। গান রিপিট দিয়ে রেখেছি। চোখ বন্ধ করে ছিলাম। চেয়ারে হেলান দিয়ে, কম্পিউটারের কেসিংয়ে পা তুলে দিয়ে। আমার চেয়ারটা পেছনে অনেকখানি হেলে। খুব আরাম। এখনও লিখছি হেলান দিয়ে। শুনছি সুইট রেইন। বাইরে বৃষ্টি কি না জানিনা। একটু পরেই জানবো। পার্লার থেকে এসেছি। ভুরু তোলার পরে ওরা ঠান্ডা জলে টিস্যু ভিজিয়ে, খুব সুন্দর করে চোখ মুখ মুছিয়ে দেয়। আরাম। একটু পরে হাত মুখ ধুয়ে বের হবো। কেন হার্ট বের করে ধুয়ে ফেলা যায়না? বাইরের এতো ময়লা, ধুলোবালি কি আমাদের হৃদয়-- হৃৎপিণ্ডে কিছু পৌঁছায় না? আর ফুসফুস? যকৃৎ? আরও জানিনা কী কী আছে, শরীরের ভেতরে। আমি দেখিনি কখনও। এগুলো কেন রোজ বের করে পরিষ্কার ঠান্ডা জলে রগড়ে রগড়ে ধুতে পারিনা? ভালো লাগতো হয়তো তাহলে। চোখ বন্ধ করতে চোখের ভেতরে ফ্ল্যাশ জ্বলে-- শুওরের বাচ্চা। চোখ বের করে চোখের পেছনটা ধুয়ে ফেলা যায়না? ধুয়ে ফেলা যায়না নোকিয়া মোবাইল ফোন? মিডিয়া প্লেয়ারের বৃষ্টি যদি হৃদয়কে ভেজায় তাহলে হৃৎপিণ্ডে ফুসফুসে এতো শুষ্কতা, এতো বালি কেন? কান থেকে কেন সারাদিনের শব্দ ধুয়ে ফেলা যায়না?

No comments: