Sep 16, 2010

অনুভূতিগুলো ক্রমশই ক্রমশই ব্যক্তিগত হয়ে যায়।

তারারাও তো দূরে সরে যাচ্ছে। মানুষের কী দোষ? আমরা কেউ আর এক জায়গাতে নেই। তাই সব কথাই আজ অর্থহীন। এবং সব শব্দই অক্ষম। এবং কবিতারা আজ ঝরা পালক। এবং ত্বক আরও কিছুটা শুষ্ক। আমরা কি এই বাস্তবতাকে উপেক্ষা করে কাছে যেতে পারিনা? আমাদের বাস্তবতা কি আমরা তৈরি করতে পারিনা?

না পারিনা। তাই জোড়া মুক্তো মিথ্যে বন্দরে বিকিয়ে দিয়ে জাহাজের টিকেট কিনে ফেলি। এই জাহাজ ডুবে যাবে। কী আসে যায়। যারা জাহাজডুবিতে মরবেনা তারাও তো কিছুনাকিছুতে মরবেই।

বাস্তবতা মেইল করে। বাস্তবতা ফোন করে। বাস্তবতার সাথে দেখা হয় রোজ। অথচ তোমার সাথে দেখা হয়না। এরকম করে তুমি অবাস্তব হয়ে যাও। আর আমি মরে যাই।

মরে গিয়ে ভুত হতে চাই। ভুত হয়ে মাঝেমাঝে তোমাকে দেখবো। কিন্তু তোমার কাছে আর যাবোনা। কারণ আর যেতে ইচ্ছা করেনা। এটাই বাস্তবতা। ইচ্ছারা মরে যায়। আর ইচ্ছারা মরে গেলে ভুত হয়না। কিছুই হয়না কোথাও থাকেনা। তাই আমার ভুত একসময় তোমাকে আর দেখতে যাবেনা। তোমাকে আর খুঁজবেনা। রাস্তায় কিংবা ইন্টারনেটে।

কিন্তু আমি কোনোদিনও চাইনা তুমি খারাপ থাকো। তাহলে তুমি কেনো আমাকে এতো কষ্ট দিলা?

1 comment:

ভাগশেষ said...

নিজের বাস্তবতা নিজে তৈরি করার আইডিয়াটা কোথাও সেল করা গেলোনা। আরেকজনকে দরকার ছিলো। আরেকজনের আগ্রহ হলোনা।

অতএব, নিজের বাস্তবতা নিজে তৈরি করা যায়না। (প্র মা ণি ত)