Jul 19, 2011

পুরান লেখা+ নতুন লেখা

পুরান লেখা

অতুল অবনী অমল, আশুতোষ পরিতোষ, নবীন, গোবিন্দ সমুদ্রে বেড়াতে যায়। সেখানে গিয়ে তারা শখ করে আচার খায়। অমল খায়না। অতঃপর তারা সমুদ্রে, স্নানে ব্যস্ত হয়ে যায়। হোটেলে ফিরে অমল স্নানে যায়। অতুল ঘুমিয়ে পড়ে। নবীন অপরিমিত হাসতে থাকে। দেখে সবাই ভাবে আমার না জানি কী হবে। ভাবতে ভাবতে আশুতোষের হ্যালুসিনেশান হয়। তার মাথা থেকে আরেকজন আশুতোষ বের হয়ে আসে। এবং কল্পনা ভাঙার আগেই আশুতোষ১কে মেরে খেয়ে ফেলে। এই ঘটনা বাস্তবে হওয়াতে নবীন পরিতোষ অবনী গোবিন্দ এগুলি দেখতে পায়। তাদের সাথেও তখন একই ঘটনা ঘটে। অমল বাথরুম থেকে বের হয়ে কিছু বুঝতে পারেনা। অতুল স্বপ্ন দেখছিলো তারা সবাই পাহাড়ে ক্রিকেট খেলছে।

পরদিন সকালে সকলে মিলে পাহাড়ে ঘুরতে যায়। সেখানে সেট২, সেট১কে ব্যাট দিয়ে পিটায় মেরে ফেলে।



নতুন লেখা (স্পয়লার)

জাঁ পল সার্ত্রের 'ছায়াহীন কায়া'- men without shadows.

একটি গ্রামের তিনশ মানুষ মারা যায় এবং গেরিলাযুদ্ধে ধরা পড়া কিছু বিদ্রোহী। তাদের মধ্যে সবাই আছে, নারী, শিশু, যুবক, অভিজ্ঞ। ইন্টারোগেশান করা হবে তাদের।  অত্যাচারে একেকজন একেকভাবে রিএক্ট করবে। কেউ চিৎকার করে, গালি দেয়, কেউ নিশ্চুপ থাকে। একজন জানলা দিয়ে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করে। আহা সে-ই হয়তো প্রকৃত বিজয়ী কারণ সে আর কোনোদিন ইন্ট্রোস্পেকটিভ হবার অবকাশ পাবেনা। অবশেষে বন্দীরা বুঝতে পারে মানসিক যুদ্ধে তারা জয়ী এবং বিরুদ্ধপক্ষ পরাজিত। কিন্তু তখন তারা ধর্ষিত, তাদের হাড় ভেঙে দেওয়া হয়েছে, মাংস কেটে নেওয়া হয়েছে। জয়পরাজয় সাফল্য ব্যর্থতাকে তারা নতুন দৃষ্টিতে দেখে। 

আর অন্যপক্ষ নিজেদের কাছে কেবলি পরাজিত। 

বন্দীরা তাই মুখ খুললে নিঃশর্তে মুক্তি পাবে। 

বন্দীরা মুখ খুলে, মিথ্যা তথ্য দেয়। অন্যপক্ষ বিজয় অনুভব করে। যদিও তাদের মনে গতরাতের পরাজয়ের গ্লানি বিরাজ করে।

আর্মির একজন বন্দীদেরকে আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করে কোনোভাবে, এই আশাতে যে তারা নিজেদেরকে মারবে (কিংবা উল্টো তাদেরকেই হত্যা করবে(?))। তাহলে আর কেউ বন্দীগুলির কাছে তাদের গতরাতের পরাজয়ের কথা স্মরণ করবেনা।

তিন বন্দী একে একে আত্মহত্যা করে, বা একজন অন্য দু'জনকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করে। পাঠ করবার সময় আঘাত লাগলেও পরে ভেবে দেখলে অনুধাবন করা যায় নাটকটির অন্য কোনো পরিণতি হতে পারতোনা, যেমন জীবনের মৃত্যু ব্যতীত আর কোনো পরিণতি নাই।

এটি পাঠ করে জন্ম জীবন অস্তিত্ব মৃত্যু নিয়ে ভয়াবহ অর্থহীন দ্বন্দ্ব সংশয়ের সৃষ্টি হয়। আবদার রশীদের অনুবাদ, মুক্তধারা থেকে ১৯৭৭ সালে প্রকাশিত, ২০১১ বইমেলাতে ৫/৭ টাকা দিয়ে কেনা। শুরুতে একটি ৩৫ পৃষ্ঠার ভূমিকা আছে, সে'টি পড়া হয়নি। নাটকের অনুবাদ অসাধারণ সাবলীল। আবদার রশীদের আরও অনুবাদ/ লেখা পড়ার জন্য আগ্রহী হইলাম।

No comments: